Oct 15, 2015

বাস ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে সিপিবি-র বিক্ষোভ

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঢাকা কমিটির উদ্যোগে আজ বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাস ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল, সকল রুটে বিআরটিসি চালু, যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সিপিবি ঢাকা কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক ডা. সাজেদুল হক রুবেল, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আসলাম খান, সুকান্ত শফি কমল, কার্ত্তিক চক্রবর্তী, হাফিজ আদনান রিয়াদ, অনিন্দিতা সাহা তুলতুল।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত বর্তমান সরকার গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করার পর এখন বাস ভাড়াও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্বব্যংক-আইএমএফকে খুশি করার জন্য সরকার গ্যাসের দাম অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করেছে। নারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পৃথক গণপরিবহন চালুর দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বাসে উঠতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হন নারী ও শিক্ষার্থীরা। বাসভাড়া বৃদ্ধির ফলে লাভবান হয়েছে বাস মালিক ও অসৎ সরকারি দলের লোক।এই আন্দোলন ষাট লক্ষ যাত্রীর দাবি আদায়ের আন্দোলন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বস্তরে এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য সকলের আহ্বান জানান।সরকার বিআরটিসি বাস যতগুলো চালু করেছিল তার অনেকগুলোই বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।পানির বিল বাড়ানো হয়েছে কাউকে না জানিয়েই। এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান বক্তারা।
১৫ অক্টোবর, ২০১৫

Oct 14, 2015

দ্বিতীয় দিনে সিপিবি-বাসদ-এর ‘সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা

"লুটেরাদের স্বার্থরক্ষাকারী সরকারের
‘জেদি’ কর্মকান্ড দেশবাসী মেনে নেবে না"

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ-এর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সুন্দরবন ধ্বংস করে দেশি-বিদেশি লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষা করতে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। সরকারের ‘জেদি’ কর্মকান্ড দেশবাসী মেনে নেবে না। রামপাল, ওরিয়ন বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সুন্দরবন বিধ্বংসী সকল প্রকল্প বাতিল এবং প্রাণবৈচিত্র-প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষার দাবিতে সিপিবি-বাসদ-এর ‘সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা’র দ্বিতীয় দিনে মানিকগঞ্জ ও গোয়ালন্দ মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
আজ ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সিপিবি’র মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আজহারুল ইসলাম আরজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান, বাসদ-এর সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ-এর কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার, বাসদ-এর কেন্দ্রীয় নেতা নিখিল দাস, জয়নাল আবেদীন, ছাত্রনেতা মৈত্রী ঘোষ। এছাড়া গোয়ালন্দ মোড়ে সিপিবি’র রাজবাড়ি জেলা কমিটির সভাপতি আবুল কালামের অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন, সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাফি রতন।
কমরেড মনজুর বলেন, ভারতের মধ্যপ্রদেশে নরসিংহপুর জেলায় ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কৃষি ও পরিবেশগত সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে ভারত সরকার ঐ প্রকল্পটি বাতিল করে। অথচ এর থেকে অনেক বেশি ক্ষতিকর হওয়ার পরও বাংলাদেশে ঐ প্রকল্প বাস্তবায়নের চুক্তি করা হয়েছে। এই গণবিরোধী উদ্যোগ কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, ভারতের পরিবেশ মন্ত্রণালয় এসব প্রকল্পের বিরোধিতার সময় দো-ফসলি জমি ও নর্দমা থেকে পানি নেওয়া বিবেচনায় নিয়েছে। ঐ দেশের কেন্দ্রীয় গ্রিন প্যানেল বলেছে, জনবসতির কাছে ও কৃষিজমির ওপর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণযোগ্য নয়। অথচ সুন্দরবনে কৃষি জমি ধ্বংস করে সুন্দরবনের কাছে রামপাল বাগেরহাট খুলনার কাছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। সুন্দরবন বাঁচাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
খালেকুজ্জামান বলেন, ১৯৭২ সালে ইরানের রামসার শহরে বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক জলাভ‚মি সংরক্ষণের জন্য ১৬০টি দেশ স্বাক্ষর করে। ‘প্রাকৃতিক জলাভ‚মি হিসেবে সুন্দরবন ‘রামসার এলাকা’ হিসেবে ঘোষিত। রামসার কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে এই প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সুন্দরবন নিয়ে সকলের উদ্বেগ আছে। কিন্তু উদ্বেগ নেই শুধু লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষাকারী সরকারের।
সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাত্রা করে, মানিকগঞ্জ ও গোয়ালন্দ মোড়ে সমাবেশ শেষ করে ‘সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা’ ফরিদপুরের দিকে যাত্রা করে। ১৪ অক্টোবর ২০১৫

Oct 12, 2015

আজ থেকে শুরু হচ্ছে সিপিবি-বাসদ এর সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা



বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ রামপাল ওরিয়ন বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ পরিবেশ বিধ্বংসী অপতৎপরতা রুখে দাঁড়ান দেশি-বিদেশি লুটপাটকারীর কবল থেকে সুন্দরবন বাঁচাতে ১৩-১৭ অক্টোবর ২০১৫ সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।আজ ১৩ অক্টোবর বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে এই অভিযাত্রা শুরু হয়ে ১৭ অক্টোবর বিকেল ৩টায় বাগেরহাটে সমাপনী সমাবেশে মিলিত হবে
১৩-১৭ অক্টোবর সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা
১৩ অক্টোবর১৫ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সন্ধ্যা ৬টায় সাভার বাজার ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে সমাবেশ শেষে যাত্রা বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশ।
১৪ অক্টোবর১৫ বুধবার সকাল ৯টায় জা:বি: থেকে বিকেল ৩টায় গোয়ালন্দ মোড়ে সকাল ১১টায় মানিকগঞ্জ কোর্ট চত্বরে সমাবেশযাত্রা বিকেল ৪টায় ফরিদপুরে জনসভা।
১৫ অক্টোবর১৫ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায়®সমাবেশ দুপুর ১২টায় মাগুরায়®সকাল ১০টায় মধুখালীতে পথসভা®ফরিদপুর থেকে যাত্রা বিকেল ৫টায় যশোরে জনসভা।
১৬ অক্টোবর১৫®বিকেল ৩টায় ঝিনেদায় সমাবেশ®সমাবেশ ২টায়®সকাল ১০টায় নওয়াপাড়ায় পথসভা®শুক্রবার সকাল ৯টায় যশোর থেকে যাত্রা বিকেল ৪টায় খুলনা হাদিস পার্কে®দুপুর ১২টায় দৌলতপুরে পথসভা®ফুলতলায় পথসভা সকাল ১১টায়®জনসভা।
১৭ অক্টোবর১৫ শনিবার সকাল ১০টায় খুলনা থেকে যাত্রা বিকেল ৩টায় বাগেরহাট/ দিগরাজে সমাপনী সমাবেশ

Oct 10, 2015

সুন্দরবন রক্ষায় সাংস্কৃতিক গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত




আজ ১০ অক্টোবর শনিবার বিকেল ৪টায় খুলনা শহীদ হাদিস পার্কে দক্ষিণাঞ্চলের প্রাকৃতিক রক্ষা বর্ম বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষা দাবিতে আয়োজিত সাংস্কৃতিক গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক অধ্যাপিকা দীপা ব্যানার্জী। বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. আব্দুল মতিন, জাতীয় কমিটি সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, অধ্যাপক . আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী, পরিবেশ আন্দোলনের নেতা শরীফ জামিল, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, হুমায়ুন কবীর, ডা. মনোজ দাস, অ্যাড. বাবুল হাওলাদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে খুলনার বিভিন্ন ক্রীয়াশীল অর্ধাশতাধিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন সংহতি জানান।
সমাবেশে বক্তারা সুন্দরবন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা, বন উজাড়, নদী-খালে বিষ ছিটিয়ে মাছ মারা সহ ধ্বংসের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এসব ধ্বংসের কর্মকান্ড অব্যাহত রেখে, নতুন করে সুন্দরবনের কাছে বড় ধরনের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প করলে সুন্দরবনকে কোনোভাবেই বাঁচানো যাবে নাসুন্দরবন রক্ষায়, সুন্দরবন এর পাশে নির্মানাধীন রামপাল ওরিয়ন বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, এগুলোর প্রয়োজনীয়তা জরুরী হলে দেশের দেশপ্রেমিক বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে সুন্দরবন থেকে নিরাপদ দুরত্বে পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থায় স্থাপন করতে হবে।অবিলম্বে মংলা-ঘশিয়াখালীসহ সকল নৌ চ্যানেল চালু চালু রাখতে নিয়মিত ড্রেজিং এবং সুন্দরবনের মধ্যকার অপরিকল্পিত নৌযান বিশেষত কয়লা, তেল, সার, সিমেন্ট, ফ্লাইঅ্যাশ ইত্যাদি বহনকারী নৌযানের চলাচল বন্ধের দাবি জানান।সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নদী-খালে বিষ ছিটানো, অবৈধভাবে মাছ শিকার, কাঠ কাটা, তরিণ বাঘ শিকার বন্ধ করতে এবং অবৈধ দখলদারসহ স্থাপনা উচ্ছেদের আহবান জানান।সুন্দরবন ধ্বংস হলে শুধু দেশের পরিবেশ নয় সারা বিশ্বের পরিবেশ বিপর্যয়ের উপরও প্রভাব পরবে। সুন্দরবন রক্ষায় একটি টেকসই পরিবেশ বান্ধব জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন বাস্তবায়নের দাবি জানান।সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনকে অগ্রসর করতে সচেতন দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান
অনুষ্ঠানে দেশের প্রখ্যাত লোক সংগীত শিল্পী সাঈদুর রহমান বয়াতী আবুল বাসার আব্বাসী সুন্দরবন বিষয়ক জারি গণসংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়া স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ জারি, গণসংগীত, কবিতা নাটক পরিবেশন করেন


সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করে, সুন্দরবন রক্ষার দায়িত্ব আমাদের
কিছু মুনাফালোভী দেশি-বিদেশিদের স্বার্থে সুন্দরবনকে ধ্বংস হতে দেব না