গত আগস্ট মাসের শেষে
সরকার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।গত জানুয়ারী মাসে গ্যাস ও
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য গনশুনানি করে তার ৬ মাস পর সরকার এই ঘোষণা দেয়। বাম নেতাদের
বক্তব্য অনুযায়ী গনশুনানির ৩ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হয়। ৩ মাসের মধ্যে
সিদ্ধান্ত না জানালে গনশুনানি বাতিল বলে গণ্য হয়। আবার গনশুনানি না করে দাম-বাড়ানো
বা কমানো আইনত বেআইনি। কিন্তু সরকার এই আইন না মেনে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বেআইনি
ভাবে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে বলে দাবি করেন বাম নেতারা। সেপ্টেম্বর মাস
জুড়েই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সিপিবি-বাসদ ও অনান্য বাম
সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচী পালন করেন। কিন্তু সরকার এখনও কোন কর্ণপাত করে নাই। তাই
সরকারের গ্যাস ও বিদ্যুতের বাম বাড়ানোর ঘোষণার ধারাবাহিকতায় আজ থেকে গ্যাস চালিত
পরিবহনের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে পরিবহন মালিকরা।ঢাকা সিটিতে প্রতি বাসে ৫-২০ টাকা
পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
রোজার আগে থেকেই নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের
দাম বেড়ে গেছে। এই ঘোষণার পর থেকে তার দাম
আরও বাড়তে শুরু করেছে। প্রায় সব সবজির দাম ৫০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। এঅবস্থায়
আবার সরকারী চাকুরীজীবীদের বেতন দিগুণ হচ্ছে। তার মানে সাধারন মানুষের জীবন চালানো
এক দুর্বিষহ যন্ত্রণার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মাত্র ২২ লাখ মানুষের বেতন বাড়ছে। কিন্তু
প্রায় ১৮ কোটি মানুষের উপর সেই বোঝা চাপানো হচ্ছে। পরিবহনের ভাড়া যে পরিমাণ বাড়ানো
হচ্ছে, তার চেয়ে খুব নগণ্য ভাবে গ্যাসের দাম বেড়েছে কিন্তু সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ
না থাকায় পরিবহন মালিকরা তাদের ইচ্ছামত ভাড়া বাড়াচ্ছে। এঅবস্থা চলতে থাকলে সরকারের
যে কর্মকাণ্ড তা আরও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
No comments:
Post a Comment