বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহালের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর এখন তা পুনর্বিবেচনায় (রিভিউ) আবেদনের সুযোগ রয়েছে এই দুই যুদ্ধাপরাধীর; এজন্য তাদের হাতে সময় ১৫ দিন।
রিভিউ
আবেদনের সময়ের
মধ্যে
দণ্ড
কার্যকরের প্রক্রিয়া সরকার
শুরু
করতে
পারবে
জানিয়ে
রাষ্ট্রের প্রধান
আইন
কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম
বলেছেন,
আসামি
আবেদন
করলে
অবশ্য
এই
প্রক্রিয়াটি বন্ধ
হয়ে
যাবে।রিভিউ আবেদন করবেন
জানিয়ে
মুজাহিদের আইনজীবী শিশির
মনির
বলেছেন,
তা
নিষ্পত্তির আগে
দণ্ড
কার্যকরের কোনো
কর্তৃপক্ষের কোনো
উদ্যোগ
নেওয়া
হবে
আইনগত
কর্তৃত্ববহির্ভূত।পূর্ণাঙ্গ রায়
প্রকাশের দিন
বুধবার
(৩০
সেপ্টেম্বর) থেকে
রিভিউ
আবেদনের সময়
গণনা
শুরু
হবে
বলে
অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের বিরোধিতা করে
এই
আইনজীবী বলছেন,
১৫
দিন
সময়
গণনা
শুরু
হবে
তারা
অনুলিপি হাতে
পাওয়ার
পর
থেকে।পুরো অক্টোবর মাস
সুপ্রিম কোর্টে
ছুটি
রয়েছে।
আদালত
চাইলে
রিভিউ
আবেদনের শুনানি
অবকাশের মধ্যেও
নিতে
পারেন
বলে
মন্তব্য করেছেন
মাহবুবে আলম।
তা
না
হলে
শুনানি
যাবে
নভেম্বর।রিভিউতে যদি
দণ্ডের
ক্ষেত্রে কোনো
পরিবর্তন না
ঘটে,
তাহলে
রাষ্ট্রপতির কাছে
প্রাণভিক্ষার সুযোগ
পাবেন
সাবেক
এই
দুই
মন্ত্রী সালাউদ্দিন কাদের
ও
মুজাহিদ। তা
নাকচ
হয়ে
গেলে
সরকার
প্রাণদণ্ড কার্যকরের পদক্ষেপ নেবে।
এর
আগে
দণ্ডিত
জামায়াতে ইসলামীর নেতা
আব্দুল
কাদের
মোল্লা
ও
মো.
কামারুজ্জামানের ক্ষেত্রে রিভিউতে রায়ের
কোনো
পরিবর্তন আসেনি।
তারা
রাষ্ট্রপতির কাছে
প্রাণভিক্ষার সুযোগ
নেননি
বলেও
সরকারের পক্ষ
থেকে
জানানো
হয়েছিল।পৃথক দুটি দিনে
সালাউদ্দিন কাদের
ও
মুজাহিদের রায়
ঘোষণা
হলেও
পূর্ণাঙ্গ রায়
প্রকাশিত হয়েছে
একই
দিনে।
সালাউদ্দিন কাদেরের রায়
হয়েছিল
গত
২৯
জুলাই,
তার
আগে
১৬
জুন
হয়েছিল
মুজাহিদের রায়।বুধবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়
প্রকাশের পর
পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন,
দণ্ড
কার্যকরের বিষয়ে
অগ্রসর
হওয়ায়
কোনো
নিষেধ
নাই।“তারা
রিভিউ
ফাইল
করবেন
কবে?
সেজন্য
রাষ্ট্রপক্ষ বসে
থাকবে,
এটা
কিন্তু
আইনে
বলা
নেই।
১৫
দিন
সময়
দেওয়া
হয়েছে
রিভিউ
ফাইল
করার
জন্য।
বলা
হয়নি
রাষ্ট্রপক্ষকে ১৫
দিন
অপেক্ষা করতে
হবে।”“কিন্তু এর ভেতর
যদি
আসামিপক্ষ বা
দণ্ডিত
ব্যক্তি রিভিউ
পিটিশান ফাইল
করেন,
তাহলে
স্বংয়ক্রিয়ভাবে এই
দণ্ডের
কার্যক্রম স্থগিত
হয়ে
যাবে।
এই
রিভিউ
আবেদনটি ফাইল
করতে
হবে
১৫
দিনের
ভেতর।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে রিভিউয়ের বিষয়টি বলা ছিল না বলে কাদের মোল্লার রায়ের পর যুদ্ধাপরাধীদের এই সুযোগ পাওয়া নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল।এরপর সর্বোচ্চ আদালত এই সেই বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত দেয়, আসামি ও রাষ্ট্র- দুপক্ষই ১৫ দিনের মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারবে।তবে রায়ের নির্ভরযোগ্যতায় ‘খাদ আছে’ বা ‘বিচার-বিভ্রাটের’ আশঙ্কা আছে বলে মনে করলেই আদালত তা পুনর্বিবেচনার জন্য গ্রহণ করবে।রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর দিন গণনা শুরু হবে বলে আসামি পক্ষের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “রায় যেদিন সই হয়ে যাবে সেদিন থেকে গণনা হবে। বুধবার থেকেই দিন গণনা শুরু হবে।“কারণ তার (আসামির) আইনজীবীরা জেনেছেন। রায়ের কপিও আদালত থেকে পাঠিয়ে
দেওয়া
হবে।
রায়ের
কপি
অ্যার্টনি জেনারেল অফিসে
আসবে,
ট্রাইব্যুনালে যাবে,
কারাগারে যাবে।”পূর্ণাঙ্গ রায় দুটির অনুলিপি বুধবারই আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে
গেছে।ট্রাইব্যুনালের
রেজিস্ট্রার শহীদুল
আলম
ঝিনুক
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন,
“আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) রায়
ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা
হবে।
রায়ের
প্রত্যায়িত কপি
আগামীকাল কারা
কর্তৃপক্ষ ও
জেলা
ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে
পাঠানো
হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও অবহিত
করা
হবে।”সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ শুরু
হতে
যাওয়ায়
রিভিউ
আবেদন
হলে
এর
মধ্যে
তার
শুনানি
হবে
কি
না-
জানতে
চাইলে
মাহবুবে আলম
বলেন,
“এটি
নির্ভর
করছে
আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর।“আদালত
যদি
মনে
করেন,
বন্ধের
ভেতর
শুনবেন,
শুনতে
পারেন।
অনেক
মামলাই
এরকম
বন্ধের
ভেতর
শুনানি
হয়েছে।
আদালত
যদি
মনে
করেন,
বন্ধের
পরে
নভেম্বর মাসের
১
তারিখের পরে
তারা
শুনবেন,
তাও
হতে
পারে।”
No comments:
Post a Comment