Sep 28, 2015

গুলশানে ইতালীয় নাগরিককে গুলি করে হত্যা



গুলশানে কূটনীতিক পাড়ায় আইসিসিও কো-অপারেশন নামে একটি সংস্থার প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচ্যুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক চেজারে তাভেল্লা নামে এক ইতালীয় নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে চেজারে তাভেল্লা নামে ওই ইতালীয় নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়।


প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ওই এলাকায় অন্যান্য দিন রাস্তার পাশের বাতিগুলো জ্বলতে দেখলেও ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর থেকে বাতিগুলো নেভানো ছিল।ঘটনাস্থল গুলশান-২ এর ৮৩ নম্বর রোডের মুখে সোমবার সোয়া ৬টার দিকে একটি সাইকেল মেরামতের কাজ করছিলেন গুলশানের রিকশা মেকানিক মো.জয়নাল।জয়নাল জানান, বিদেশি ওই নাগরিককে হত্যার পর খুনিদের বন্দুক হাতে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যেতে দেখেছেন তিনি।তিনটা থেকে চারটা গুলির আওয়াজ শোনার পরই দেখি হেংলা পাতলা দুইটা পোলা একটা মটরসাইকেলে উঠল। মাঝখানের পোলাডার হাতে একটা পিস্তল ছিল। ওগো জন্য রাস্তার কিছু দূরে একটা মোটরসাইকেলে মাঝবয়সী এক লোক অপেক্ষা করছিল।অন্যান্য দিনের মতো রাস্তায় বাতি না থাকায় অন্ধকারে ওই যুবকদের চেহারা দেখতে পারেননি বলেও জানান জয়নাল।মোটরসাইকেলে দুই জন ওঠার পরই তারা মূল সড়ক দিয়ে গাড়ি না নিয়ে গুলশান-২ এর ৮৩ নম্বর সড়কের ভেতর দিয়েই মূহূর্তে পালিয়ে যায় বলেও খুনিদের শেষ বারের মত দেখার বর্ণনা দেন জয়নাল।
হত্যার ঘটনাটি যে পূর্ব পরিকল্পিত ছিল তা উঠে এসেছে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সার্জেন্ট মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের ভাষ্যে।ঘটনাস্থল দেখতে এসে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহফুজুর রহমানও জানান, ওই বিদেশির কোন ব্যাগ বা মোবাইল ফোন খোয়া যায়নি।বিদেশিকে হত্যার এই ঘটনার সঙ্গে ছিনতাইয়ের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদও।তিনি বলেন, “আমরা অনেকটাই নিশ্চিত হত্যার ঘটনাটির সঙ্গে ছিনতাইয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে হত্যার রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করছি।এদিকে ঘটনার পর সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট, র‌্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঘটনাটি পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

No comments:

Post a Comment