Sep 30, 2015

আজ থেকে সিএনজি চালিত পরিবহনের ভাড়া বাড়ল

গত আগস্ট মাসের শেষে সরকার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।গত জানুয়ারী মাসে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য গনশুনানি করে তার ৬ মাস পর সরকার এই ঘোষণা দেয়। বাম নেতাদের বক্তব্য অনুযায়ী গনশুনানির ৩ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হয়। ৩ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত না জানালে গনশুনানি বাতিল বলে গণ্য হয়। আবার গনশুনানি না করে দাম-বাড়ানো বা কমানো আইনত বেআইনি। কিন্তু সরকার এই আইন না মেনে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বেআইনি ভাবে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে বলে দাবি করেন বাম নেতারা। সেপ্টেম্বর মাস জুড়েই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সিপিবি-বাসদ ও অনান্য বাম সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচী পালন করেন। কিন্তু সরকার এখনও কোন কর্ণপাত করে নাই। তাই সরকারের গ্যাস ও বিদ্যুতের বাম বাড়ানোর ঘোষণার ধারাবাহিকতায় আজ থেকে গ্যাস চালিত পরিবহনের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে পরিবহন মালিকরা।ঢাকা সিটিতে প্রতি বাসে ৫-২০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
রোজার আগে থেকেই নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দাম  বেড়ে গেছে। এই ঘোষণার পর থেকে তার দাম আরও বাড়তে শুরু করেছে। প্রায় সব সবজির দাম ৫০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। এঅবস্থায় আবার সরকারী চাকুরীজীবীদের বেতন দিগুণ হচ্ছে। তার মানে সাধারন মানুষের জীবন চালানো এক দুর্বিষহ যন্ত্রণার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মাত্র ২২ লাখ মানুষের বেতন বাড়ছে। কিন্তু প্রায় ১৮ কোটি মানুষের উপর সেই বোঝা চাপানো হচ্ছে। পরিবহনের ভাড়া যে পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে, তার চেয়ে খুব নগণ্য ভাবে গ্যাসের দাম বেড়েছে কিন্তু সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকায় পরিবহন মালিকরা তাদের ইচ্ছামত ভাড়া বাড়াচ্ছে। এঅবস্থা চলতে থাকলে সরকারের যে কর্মকাণ্ড তা আরও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

সাকা, মুজাহিদের চূড়ান্ত রায় প্রকাশ



বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহালের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর এখন তা পুনর্বিবেচনায় (রিভিউ) আবেদনের সুযোগ রয়েছে এই দুই যুদ্ধাপরাধীর; এজন্য তাদের হাতে সময় ১৫ দিন
রিভিউ আবেদনের সময়ের মধ্যে দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া সরকার শুরু করতে পারবে জানিয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, আসামি আবেদন করলে অবশ্য এই প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে যাবেরিভিউ আবেদন করবেন জানিয়ে মুজাহিদের আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, তা নিষ্পত্তির আগে দণ্ড কার্যকরের কোনো কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূতপূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের দিন বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে রিভিউ আবেদনের সময় গণনা শুরু হবে বলে অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের বিরোধিতা করে এই আইনজীবী বলছেন, ১৫ দিন সময় গণনা শুরু হবে তারা অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর থেকেপুরো অক্টোবর মাস সুপ্রিম কোর্টে ছুটি রয়েছে। আদালত চাইলে রিভিউ আবেদনের শুনানি অবকাশের মধ্যেও নিতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন মাহবুবে আলম। তা না হলে শুনানি যাবে নভেম্বররিভিউতে যদি দণ্ডের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন না ঘটে, তাহলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সুযোগ পাবেন সাবেক এই দুই মন্ত্রী সালাউদ্দিন কাদের মুজাহিদ। তা নাকচ হয়ে গেলে সরকার প্রাণদণ্ড কার্যকরের পদক্ষেপ নেবে
এর আগে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা মো. কামারুজ্জামানের ক্ষেত্রে রিভিউতে রায়ের কোনো পরিবর্তন আসেনি। তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সুযোগ নেননি বলেও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলপৃথক দুটি দিনে সালাউদ্দিন কাদের মুজাহিদের রায় ঘোষণা হলেও পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে একই দিনে। সালাউদ্দিন কাদেরের রায় হয়েছিল গত ২৯ জুলাই, তার আগে ১৬ জুন হয়েছিল মুজাহিদের রায়বুধবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, দণ্ড কার্যকরের বিষয়ে অগ্রসর হওয়ায় কোনো নিষেধ নাইতারা রিভিউ ফাইল করবেন কবে? সেজন্য রাষ্ট্রপক্ষ বসে থাকবে, এটা কিন্তু আইনে বলা নেই। ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে রিভিউ ফাইল করার জন্য। বলা হয়নি রাষ্ট্রপক্ষকে ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে।”“কিন্তু এর ভেতর যদি আসামিপক্ষ বা দণ্ডিত ব্যক্তি রিভিউ পিটিশান ফাইল করেন, তাহলে স্বংয়ক্রিয়ভাবে এই দণ্ডের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাবে। এই রিভিউ আবেদনটি ফাইল করতে হবে ১৫ দিনের ভেতর।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে রিভিউয়ের বিষয়টি বলা ছিল না বলে কাদের মোল্লার রায়ের পর যুদ্ধাপরাধীদের এই সুযোগ পাওয়া নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিলএরপর সর্বোচ্চ আদালত এই সেই বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত দেয়, আসামি রাষ্ট্র- দুপক্ষই ১৫ দিনের মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারবেতবে রায়ের নির্ভরযোগ্যতায়খাদ আছেবাবিচার-বিভ্রাটেরআশঙ্কা আছে বলে মনে করলেই আদালত তা পুনর্বিবেচনার জন্য গ্রহণ করবেরায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর দিন গণনা শুরু হবে বলে আসামি পক্ষের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “রায় যেদিন সই হয়ে যাবে সেদিন থেকে গণনা হবে। বুধবার থেকেই দিন গণনা শুরু হবেকারণ তার (আসামির) আইনজীবীরা জেনেছেন। রায়ের কপিও আদালত থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। রায়ের কপি অ্যার্টনি জেনারেল অফিসে আসবে, ট্রাইব্যুনালে যাবে, কারাগারে যাবে।পূর্ণাঙ্গ রায় দুটির অনুলিপি বুধবারই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে গেছেট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শহীদুল আলম ঝিনুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) রায় ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হবে। রায়ের প্রত্যায়িত কপি আগামীকাল কারা কর্তৃপক্ষ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও অবহিত করা হবে।সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ শুরু হতে যাওয়ায় রিভিউ আবেদন হলে এর মধ্যে তার শুনানি হবে কি না- জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, “এটি নির্ভর করছে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপরআদালত যদি মনে করেন, বন্ধের ভেতর শুনবেন, শুনতে পারেন। অনেক মামলাই এরকম বন্ধের ভেতর শুনানি হয়েছে। আদালত যদি মনে করেন, বন্ধের পরে নভেম্বর মাসের তারিখের পরে তারা শুনবেন, তাও হতে পারে।