Nov 8, 2015

রাজন হত্যায় কামরুলসহ চার জনের ফাঁসি ও রাকিব হত্যায় দুই জনের ফাঁসির রায়

রোববার সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যায় মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামসহ চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
রায়ে মামলার ১৩ আসামির মধ্যে খালাস পেয়েছেন তিন জন। কামরুলের তিন ভাইয়ের হয়েছে সাত বছর করে কারাদণ্ড। বাকিদের মধ্যে এক জনের যাবজ্জীবন এবং দুই জনের এক বছর কারাদণ্ড হয়েছে।গত ৮ জুলাইয়ের ওই হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরুর পর মাত্র ১৭ কার্যদিবসে ঘোষিত হলো দেশজুড়ে আলোচিত এই হত্যা মামলার রায়। গত ২২ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল মামলার বিচার।
গত ২৭ অক্টোবর মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে একই বিচারক রায়ের দিন ঠিক করে দেন।রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- ময়না চৌকিদার, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল ও জাকির হোসেন পাভেল আহমদ।রায়ে খালাস পেয়েছেন-  ফিরোজ মিয়া, আজমত উল্লাহ ও রুহুল আমিন।যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে নুর মিয়ার। সাত বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে- কামরুলের তিন ভাই মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আহমদের। এক বছর করে দণ্ড হয়েছে দুলাল আহমদ ও আয়াজ আলীর।কামরুলের আরেক ভাই শামীম আহমেদ ও জাকির হোসেন পাভেল আহমেদ পলাতক রয়েছেন।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।সিলেটে রাজন হত্যার দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে ১৬ অগাস্ট ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুরঞ্জিত তালুকদার।আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার শেখপাড়ার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম, তার ভাই মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আহমদ, পাভেল আহমদ, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আজমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী।রাজন হত্যার পর ১০ জুলাই সৌদি আরব পালিয়ে যান মূল অভিযুক্ত কামরুল। গত ১৫ অক্টোবর তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে পরদিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর মাস না ঘুরতেই ৩ অগাস্ট খুনলার টুটুপাড়া কবরখানা মোড়ের মোটরসাইকেলে হাওয়া দেওয়া কমপ্রেসার মেশিনের মাধ্যমে মলদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করা হয় ১২ বছরের শিশু রাকিব হাওলাদারকে। আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের রায়ও আজ হয়েছে। এতে দুই জনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে এবং আরেক জন খালাস পেয়েছেন।খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা রোববার এই রায় দেন।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শরীফ মোটর্সের মালিক ওমর শরীফ ও তার দূরসম্পর্কের চাচা মিন্টু মিয়া।বাদীপক্ষের আইনজীবী বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়কারী মোমিনুল ইসলাম জানান, মামলার আরেক আসামি শরীফের মা বিউটি বেগমকে খালাস দিয়েছে আদালত।
সিলেটে চুরির অপবাদে শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার পর মাস না পেরোতেই গত ৩ অগাস্ট খুলনায় রাকিব হত্যার ঘটনা ঘটে।নগরীর টুটুপাড়া কবরস্থান মোড়ে শরীফ মোটর্সনামে একটি ওয়ার্কশপে মোটরসাইকেলে হাওয়া দেওয়ার কম্প্রেসার মেশিনের মাধ্যমে মলদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করা হয় রাকিবকে। রাকিব ওই ওয়ার্কশপে কাজ করত।

Oct 15, 2015

বাস ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে সিপিবি-র বিক্ষোভ

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঢাকা কমিটির উদ্যোগে আজ বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাস ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল, সকল রুটে বিআরটিসি চালু, যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সিপিবি ঢাকা কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক ডা. সাজেদুল হক রুবেল, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আসলাম খান, সুকান্ত শফি কমল, কার্ত্তিক চক্রবর্তী, হাফিজ আদনান রিয়াদ, অনিন্দিতা সাহা তুলতুল।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত বর্তমান সরকার গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করার পর এখন বাস ভাড়াও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্বব্যংক-আইএমএফকে খুশি করার জন্য সরকার গ্যাসের দাম অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করেছে। নারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পৃথক গণপরিবহন চালুর দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বাসে উঠতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হন নারী ও শিক্ষার্থীরা। বাসভাড়া বৃদ্ধির ফলে লাভবান হয়েছে বাস মালিক ও অসৎ সরকারি দলের লোক।এই আন্দোলন ষাট লক্ষ যাত্রীর দাবি আদায়ের আন্দোলন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বস্তরে এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য সকলের আহ্বান জানান।সরকার বিআরটিসি বাস যতগুলো চালু করেছিল তার অনেকগুলোই বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।পানির বিল বাড়ানো হয়েছে কাউকে না জানিয়েই। এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান বক্তারা।
১৫ অক্টোবর, ২০১৫

Oct 14, 2015

দ্বিতীয় দিনে সিপিবি-বাসদ-এর ‘সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা

"লুটেরাদের স্বার্থরক্ষাকারী সরকারের
‘জেদি’ কর্মকান্ড দেশবাসী মেনে নেবে না"

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ-এর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সুন্দরবন ধ্বংস করে দেশি-বিদেশি লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষা করতে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। সরকারের ‘জেদি’ কর্মকান্ড দেশবাসী মেনে নেবে না। রামপাল, ওরিয়ন বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সুন্দরবন বিধ্বংসী সকল প্রকল্প বাতিল এবং প্রাণবৈচিত্র-প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষার দাবিতে সিপিবি-বাসদ-এর ‘সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা’র দ্বিতীয় দিনে মানিকগঞ্জ ও গোয়ালন্দ মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
আজ ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সিপিবি’র মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আজহারুল ইসলাম আরজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান, বাসদ-এর সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ-এর কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার, বাসদ-এর কেন্দ্রীয় নেতা নিখিল দাস, জয়নাল আবেদীন, ছাত্রনেতা মৈত্রী ঘোষ। এছাড়া গোয়ালন্দ মোড়ে সিপিবি’র রাজবাড়ি জেলা কমিটির সভাপতি আবুল কালামের অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন, সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাফি রতন।
কমরেড মনজুর বলেন, ভারতের মধ্যপ্রদেশে নরসিংহপুর জেলায় ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কৃষি ও পরিবেশগত সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে ভারত সরকার ঐ প্রকল্পটি বাতিল করে। অথচ এর থেকে অনেক বেশি ক্ষতিকর হওয়ার পরও বাংলাদেশে ঐ প্রকল্প বাস্তবায়নের চুক্তি করা হয়েছে। এই গণবিরোধী উদ্যোগ কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, ভারতের পরিবেশ মন্ত্রণালয় এসব প্রকল্পের বিরোধিতার সময় দো-ফসলি জমি ও নর্দমা থেকে পানি নেওয়া বিবেচনায় নিয়েছে। ঐ দেশের কেন্দ্রীয় গ্রিন প্যানেল বলেছে, জনবসতির কাছে ও কৃষিজমির ওপর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণযোগ্য নয়। অথচ সুন্দরবনে কৃষি জমি ধ্বংস করে সুন্দরবনের কাছে রামপাল বাগেরহাট খুলনার কাছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। সুন্দরবন বাঁচাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
খালেকুজ্জামান বলেন, ১৯৭২ সালে ইরানের রামসার শহরে বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক জলাভ‚মি সংরক্ষণের জন্য ১৬০টি দেশ স্বাক্ষর করে। ‘প্রাকৃতিক জলাভ‚মি হিসেবে সুন্দরবন ‘রামসার এলাকা’ হিসেবে ঘোষিত। রামসার কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে এই প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সুন্দরবন নিয়ে সকলের উদ্বেগ আছে। কিন্তু উদ্বেগ নেই শুধু লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষাকারী সরকারের।
সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাত্রা করে, মানিকগঞ্জ ও গোয়ালন্দ মোড়ে সমাবেশ শেষ করে ‘সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা’ ফরিদপুরের দিকে যাত্রা করে। ১৪ অক্টোবর ২০১৫

Oct 12, 2015

আজ থেকে শুরু হচ্ছে সিপিবি-বাসদ এর সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা



বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ রামপাল ওরিয়ন বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ পরিবেশ বিধ্বংসী অপতৎপরতা রুখে দাঁড়ান দেশি-বিদেশি লুটপাটকারীর কবল থেকে সুন্দরবন বাঁচাতে ১৩-১৭ অক্টোবর ২০১৫ সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।আজ ১৩ অক্টোবর বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে এই অভিযাত্রা শুরু হয়ে ১৭ অক্টোবর বিকেল ৩টায় বাগেরহাটে সমাপনী সমাবেশে মিলিত হবে
১৩-১৭ অক্টোবর সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা
১৩ অক্টোবর১৫ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সন্ধ্যা ৬টায় সাভার বাজার ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে সমাবেশ শেষে যাত্রা বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশ।
১৪ অক্টোবর১৫ বুধবার সকাল ৯টায় জা:বি: থেকে বিকেল ৩টায় গোয়ালন্দ মোড়ে সকাল ১১টায় মানিকগঞ্জ কোর্ট চত্বরে সমাবেশযাত্রা বিকেল ৪টায় ফরিদপুরে জনসভা।
১৫ অক্টোবর১৫ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায়®সমাবেশ দুপুর ১২টায় মাগুরায়®সকাল ১০টায় মধুখালীতে পথসভা®ফরিদপুর থেকে যাত্রা বিকেল ৫টায় যশোরে জনসভা।
১৬ অক্টোবর১৫®বিকেল ৩টায় ঝিনেদায় সমাবেশ®সমাবেশ ২টায়®সকাল ১০টায় নওয়াপাড়ায় পথসভা®শুক্রবার সকাল ৯টায় যশোর থেকে যাত্রা বিকেল ৪টায় খুলনা হাদিস পার্কে®দুপুর ১২টায় দৌলতপুরে পথসভা®ফুলতলায় পথসভা সকাল ১১টায়®জনসভা।
১৭ অক্টোবর১৫ শনিবার সকাল ১০টায় খুলনা থেকে যাত্রা বিকেল ৩টায় বাগেরহাট/ দিগরাজে সমাপনী সমাবেশ